নতুন ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত|How to buy the Best Smartphone

একটি স্মার্টফোন অনেকগুলো যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি। সব সার্ভিস বা ফিচার আপনার পক্ষে চেক করা সম্ভব না তাই সবাই উদ্বিগ্ন থাকে যে, সঠিক ফোন কেনা হচ্ছে কিনা।কারণ এখন প্রতিটি স্মার্টফোনে এমন নতুন নতুন বিষয় সংযুক্ত হচ্ছে যেগুলোর কারণে কোনটাকে বাদ দিয়ে কোনটা কিনবেন তা নিরূপণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।তাই নতুন মোবাইল কেনার আগে যে সমস্ত ব্যাপার মাথায় রাখলেই Best Smartphone আপনি নিতে পারেন। এবং কেমন মোবাইল কিনবেন তার ডিশিসন নিতে সহজ হবে।
 Photo by Tyler Lastovich from Pexels


নতুন ফোন কেনার আগে নিম্নোক্ত 9 টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করুন / 6 Important Things To Consider Before Buying A Best Smartphone In 2019


বাজেট

সবার আগে যেটি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো ফোনের জন্য আপনার বাজেট।প্রথমেই একটা বাজেট নির্ধারণ করুন,তারপর এই বাজেটের মধ্যে কোন স্মার্টফোনটিতে সবচেয়ে বেশি ফিচার পাচ্ছেন সেটাই হবে আপনার জন্য বেস্ট ডিল।বাজেট কম হলে কিন্তু সব ফিচার পাবেন না।সেক্ষেত্রে একটু বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করে আপনার বাজেটে কোন কোম্পানির কোন মডেলটি সবচেয়ে ভালো জিনিস দিচ্ছে সেই মডেল গুলা থেকে নিম্নোক্ত বিষয় গুলো অনুয়ায়ী বেষ্ট মোবাইলটা নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।


সঠিক নকশা খুঁজুন

স্মার্ট ফোনের ক্ষেত্রে নকশা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,এ বিষয়ে কারো কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার কিছু নেই। এটা একান্ত নিজের রুচির ব্যাপার। নিশ্চিত হন যে দেখতে সুন্দর হলেও তা আপনার কতোটা কমফর্ট্যাবল। আরও খেয়াল রাখুন ফোনটা আপনার ব্যাক্ত্বিতের সাথে কতটা মানানসই।

ডিসপ্লে 

ছোট স্কিনের ফোন কিনার সুবিধা হচ্ছে এটাকে হাতের মুঠোয় রাখা যায় সহজে ক্যারি করা যায়।
ভিডিও দেখা বই পড়া পাশাপাশি দুটো আ্যাপ চালানো এবং গেইমিং করার জন্য বড় স্কিনের মোবাইল ভালো হয়। আপনার ব্যাবহারের প্রয়জন অনুযায়ী স্কিন নেওয়াটাই উচিত হবে। তবে বড় স্ক্রিনের মোবাইল বেশি জনপ্রিয়। তবে সহজে বহন করতে চাইলে ছোট পর্দার মোবাইল নেওয়া উচিত।

প্রসেসর 

মোবাইল কেনার আগে এটা মনে রাখতে হবে যে ফোনের প্রসেসর যদি ভালো হয় তবে আ্যাপ ওপেন হবে দ্রুত।আপনি নিশ্চয়ই কোনো একটি অ্যাপ এর আইকনে ট্যাপ করে সেটা ওপেন হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে চাইবেন না। আসলে RAM এর উপর এই ডিপেন্ড করেই প্রসেসর দ্রুত কাজ করে।বর্তমানের মোবাইল গুলোতে 3GB থেকে শুরু করে 8GB+ RAM থাকে। তবে মোটামুটি মধ্যবিত্ত বাজেটের জন্য 3GB RAM এর মোবাইল সবচেয়ে বেষ্ট হবে, ব্যাবহার করে মজা পাবেন। বাজেট ভালো হলে আরও বেশি RAM এর  মোবাইল নেওয়া যায়।RAM যত বেশী হবে দামও তত বেশী ,তাই আপনার বাজেট মত এমন যে মোবাইল মডেল গুলোতে 3GB রেম হয়।বর্তমানে সকল মোবাইলেই কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর আপডেটেড আছে।

RAM

মোবাইলে কার্যক্রমে দ্রুততা এনে দেয় রেম, যা উপরে প্রসসের ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ করা আছে। আসলে রেম এবং প্রসেসর একটার সাথে অন্য টা ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত।

ব্যাটারির লাইফ 

ব্যাটারির শক্তি নির্ধারিত হয় মোবাইল ফোনটি কেমন তার ওপর ভিত্তি করে। তবে বড় মাপের স্ক্রিনের মোবাইল বেশি ব্যাটারি শক্তি ক্ষয় করে। তাই শক্তিশালী ব্যাটারি প্রয়োজন হবে মোবাইলটি অনেক সময় ধরে চালু রাখার জন্য। এখন ৩০০০ MAH সবচেয়ে বেশি শক্তির ব্যাটারি হিসেবে বাজারে চালু রয়েছে.২৫০০  MAH এর কম ধারণ ক্ষমতা ব্যাটারির কোন মোবাইল কেনাটা বোকামি হবে।তাই নূন্যতম ৩০০০ থেকে ৩৩০০ MAH ব্যাটারির মোবাইল নিলেই, ব্যাটারি চার্জ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
মোবাইল চার্জ হতে ঘন্টার পরে ঘন্টা লাগে, এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য মোবাইল কোম্পানি গুলো আলাদা আলাদা প্রযুক্তি ব্যাবহার করছে। তাই মোবাইল কেনার আগে ফাষ্ট চার্জের ব্যাপারটা জেনে নিবেন।


শেষে এটা বলা যেতেই পারে, স্মার্টফোন কেনাটা আজকাল অনেকটাই কম্পিউটার কেনার মতোই হয়ে গেছে। অতএব কেনার সময় নির্দিষ্ট মোবাইল ফোনের বেশ কিছু রিভিউ দেখে উপরোক্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে কেনাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
এবার বলুন আপনার জন্যে Best Smartphone টি কেনার সময় আপনি কি কি বিষয় বিবেচনা করেন। এমনও কি কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা যোগ্য যা এখানে উল্লেখ করা হয় নি? থাকলে এখুনি কমেন্ট বক্সে জানান। :-)
 Photo by Matheus Bertelli from Pexels

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ