বিশ্বমানের ১০টি সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলাদেশী সিনেমা
অশ্লীলতা,কুরুচি সম্পন্ন এবং গতানুগতিক কাহিনী নির্ভর বাংলা চলচিত্র যা পরিবার নিয়ে দেখার কোন উপায় নেই। আমাদের মধ্যে বেশীর ভাগ মানুষের ধারণা এমনই।সিনেমা হল গুলোর পরিবেশ এর কারণেও, মানুষের হলে গিয়ে সিনেমা দেখার প্রবণতা হারিয়ে যাচ্ছে। তবে পুরোনো দিনের মানে,শুরুর দিকের বাংলা সিনেমা গুলোর কথা বল্লেই বুঝা যায় বাংলাদেশী সিনেমার গুনগত মান কত ভালো হতে পারে।
ভাত দে,ওরা এগার জন, বেদের মেয়ে জোসনা,আম্মাজান,ছুটির ঘন্টা,মুখ ও মুখোশ এর মত সিনেমা গুলো প্রমান করে বাংলাদেশের সিনেমা জগৎ কত পরিপূর্ণ।
তবে এর মধ্যে মুল বিষয় হচ্ছে আগের দিনের সিনেমা হল ও সিনেমার টেকনোলজি ঠিক থাকলেও আজ পর্যন্ত সে সকল চিন্তাধারা যুগের সাথে আপগ্রেড হয়নি।
তবে আমাদের দারুণ সব লেখক,সাহিত্যিক,গীতিকার,পরিচালক আর অসাধারণ অভিনেতা অভিনেত্রীর অভাব নেই। সঠিক সুযোগ পেলে তারাও নিজেদের দক্ষতা দেখাতে পারে তা আগের এবং বর্তমানের সিনেমা গুলো দেখলে বুঝা যায়।
তাই আজ আমরা বাংলাদেশের ১০ টা অসাধারণ সিনেমা নিয়ে কথা বলবো যা বাংলাদেশের চলচিত্রকে দর্শকদের কাছে সম্মান ও ভালোবাসার জায়গাতে নিয়ে গেছে।
একবার হলেও দেখা উচিত এমন দশটি সিনেমা
১। আয়নাবাজি
এটি অমিতাব রেজারা পরিচালিত ছবি যা ২০১৮ সালে সেরা অভিনেতা হয়ে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।তাছাড়া সেরা পরিচালক সেরা চলচিত্র সেরা চিত্রনাট্য সহ এই সিনেমাটি মোট ৭ টি জাতিয় পুরষ্কার পেয়েছে।
IMDB রেটিং 9.3
Daily Star এর এক প্রতিবেদনের রিপোর্ট অনুযায়ী এটা একটি ইনিস্টেন্ড ব্লকবাস্টার হিট। মুভিটি ১০ দিনে ৯১ টি শো করে বাংলাদেশী ফিল্মের পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
২। দেবী
দেবী চলচিত্রের পোস্টার photo courtesy of wikipedia |
হুমায়ুন আহমেদের দেবী উপন্যাসের আলোকে বানানো এই মূভিটি ২০১৮সালের ১৯ অক্টোবর রিলিজ হয়।এই মূভিতে রানুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। আর মিসির আলীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। এই সিনেমাটি একটি অতি প্রাকৃতিক থ্রিলার ফ্লিম। যেখানে জয়া অহসান ও চঞ্চল চৌধুরীর অসাধারণ অভিনয় দেখে মনে হবে হুমায়ুন আহমেদ কে যোগ্য ট্রিভিউট দেওয়া হয়েছে। অনম বিশ্বাসের পরিচালনায় ও জয়া আহসানের প্রোডাক্সন হাউজ C ফর সিনেমার পরিচালিত এটি প্রথমসিনেমা।দেবীর IMDB রেটিং 8.3এই মূভিটি ২০১৮ সালের বেশির ভাগ এওয়ার্ডই নিজের নামে করে নিয়েছে।হুমায়ুন আহমেদের মিসির আলী সিরিজ এবং দেবী উপন্যাস পড়েছেন তারা আজই দেবী এবং মিসির আলীর বাস্তব রূপ দেখে নিতে পারেন। আর হুমায়ুন আহমেদের মত এত উচু মানের একজন লেখকের, লেখার পাওয়ার এবং চিন্তাভাবনা বুঝতেও এই সিনেমাটা দেখা উচিত
৩।মাটির ময়না
মাটির ময়না পোস্টার photo courtesy of wikipedia |
আন্তর্জাতিক ভাবে এই সিনেমাটিকে দ্যা ক্লেবাট নামেও জানা যায়। ২০০২ এর এই ড্রামা ফ্লিম টি পরিচালনা করেছেন তারেক মাসুদ, ৬০ এর দশকের উত্তাল সময়ের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঠিক আগের সময়ের একটি পরিবার কিভাবে যুদ্ধ ও ধর্মের কারণে ভেঙে চুরমার হয়ে যায় তার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে এই সিনেমাটি। পরিচালকের নিজের ছোটবেলার কাহিনীর উপরে বেস করে সিনেমাটির গল্প লেখা হয়েছে। যেখানে অত্যন্ত ধার্মিক এক বাবা তার ছোট ছেলে আনুকে পড়াশোনার জন্যে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেন।
ধর্মীয় উদারতা ও সংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সব কিছু মিলিয়ে এই সিনেমাটি একটি এবসুলুট মাষ্টারপিস।প্রথম দিকে সিনেমাটিকে বাংলাদেশে ব্যান করা হলেও,২০০৫ সালে লেজার ভিশন দ্বারা এই সিনেমাটিকে পুনরায় বাংলাদেশে প্রচার করা হয়। এটি শুধু বাংলাদেশে নয় বরং আন্তর্জাতিক ভাবে এতটাই সম্মান কামিয়েছে যে এই সিনেমাটিকে শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার চলচিত্র হিসেবে অস্কার নমিনেশন করা হয়।তাছাড়াও এটি ইন্টারন্যাশেনাল ক্রিয়েটিক্স প্রাইজ এট কিন্স,ডিরেক্টর স্কিল অব গ্রেট ব্রিটেন সহ অনেক ইন্টারন্যাশেনাল এওয়ার্ড অর্জন করে।তাছাড়া ২০০৩ সালে মাটির ময়না সিনেমাটি মোট তিনটি জাতীয় পুরস্কার অর্জন করে।
এর IMDB রেটিং হচ্ছে ৮.৫
ধর্মীয় উদারতা ও সংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সব কিছু মিলিয়ে এই সিনেমাটি একটি এবসুলুট মাষ্টারপিস।প্রথম দিকে সিনেমাটিকে বাংলাদেশে ব্যান করা হলেও,২০০৫ সালে লেজার ভিশন দ্বারা এই সিনেমাটিকে পুনরায় বাংলাদেশে প্রচার করা হয়। এটি শুধু বাংলাদেশে নয় বরং আন্তর্জাতিক ভাবে এতটাই সম্মান কামিয়েছে যে এই সিনেমাটিকে শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার চলচিত্র হিসেবে অস্কার নমিনেশন করা হয়।তাছাড়াও এটি ইন্টারন্যাশেনাল ক্রিয়েটিক্স প্রাইজ এট কিন্স,ডিরেক্টর স্কিল অব গ্রেট ব্রিটেন সহ অনেক ইন্টারন্যাশেনাল এওয়ার্ড অর্জন করে।তাছাড়া ২০০৩ সালে মাটির ময়না সিনেমাটি মোট তিনটি জাতীয় পুরস্কার অর্জন করে।
এর IMDB রেটিং হচ্ছে ৮.৫
৪। গেরিলা
গেরিলা চলচ্চিত্রের পোস্টার photo courtesy of wikipedia |
২০১১ সালে রিলিজ হওয়া এই মূভিটি ছিলো বাংলা চলচ্চিত্রের এক অবিস্মরণীয় মাষ্টার পিস। নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত এই সিনেমাটি মুলত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্বের পটভুমিতে নির্মিত।
সৈয়দ সামসুল হকের উপন্যাস নিষিদ্ধ নোবান অবলম্বনে এই সিনেমাটি তৈরী হয়েছে। এই গেরিলা মূভিটিতে অভিনয় করেছেন হাজারের ও বেশি শিল্পী। মূল চরিত্রে জয়া আহসান এর অসাধারণ অভিনয় সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের ফ্লিম মেকার ও শিল্পীদের ক্ষমতা কত বেশি। গেরিলা কমার্সিয়ালি অনেক সাফল্য পেয়েছে। রিলিজ হওয়ার একশ দিন পরেও ঢাকার ষ্টার সিনেপ্লেক্স ও বলাকার সিনে ওয়ার্ল্ডে প্রতিটি প্রদর্শনীতে বেশীর ভাগ সময়ই ছিলো হাউজ ফুল।
২০১১ সালে কোলকাতায় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার জন্যে নেপকেট পুরস্কার অর্জন করে।এমনকি এটি মোট ১০ টি জাতীয় পুরস্কার অর্জন করে। ভাবতে পারছে এই মূভি না দেখে আপনি কত বড় ভুল করেছেন।
গেরিলার IMDB রেটিং হচ্ছে 8.2
৫। ভাত দে
ভাত দে’ ছবির পোস্টার |
১৯৮৪ সালে রিলিজ হওয়া এই সিনেমাটি, বাংলাদেশের তৎকালীন সময়ের দারিদ্র্যতার প্রদর্শন করে। এই সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছে সাবানা,যার চরিত্রের নাম ছিলো "জরি" তাছাড়াও ভাত দে সিনেমাতে আলমগীর ও আঁখি আলমগীর এবং শিশু শিল্পী তারও দারুণ এক্টিং স্কিল দ্বারা এই সিনেমার শেষ সিন হতে হতে দর্শকদের চোখে পানি এনে পেলার মত জাদু করতে পেরেছে।
জরি একজন গরীব বাউল শিল্পীর মেয়ে যেকিনা ছোট বেলায় অভাবের কারণে নিজের মাকে হারায়। আর সে যখন বড় হয় তখন তার বাবাও দু মুঠো ভাত জোগাড় করতে গিয়ে মারা যায়। এর পর থেকে জরির অসহায়,দরিদ্র আর অতি করুন কাহিনীর একটি সফল স্কিন প্লে এই ভাত দে মূভিটি। বাংলাদেশের বিখ্যাত সম্পাদক ও কাহিনীকার পরিচালক আমজাদ হোসেন এই সিনেমাটির সংলাপ,চিত্রনাট্য পরিচালনা করেন।আর এর জন্যে তিনি জাতীয় পুরস্কার ও পেয়েছেন
ভাত দে সিনেমাটির IMDB রেটিং হচ্ছে 8.8
আর এটি ৯ টি জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে। তাছাড়া বাংলা সিনেমার সর্বপ্রথম ভাত দে মূভিটি কিম্স ইন্টান্যশেনাল ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছিলো।
৬। মনপুরা
photo courtesy of Laser vision Ltd |
২০০৯ সালে রিলিজ হওয়া এই মূভিটি সিনেমা প্রেমি মানুষদের জন্য অসাধারণ এক এক্সপিরিয়েন্স। মনপুরা সিনেমাটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম এবং এটি ছিলো তার প্রথম পূর্ণদৈঘ্য সিনেমা। সম্পূর্ণ গ্রাম বাংলার পটভুমিতে নির্মিত এই সিলেমাটি পারিবারিক ও একটি অসাধারণ ভালোবাসার গল্পের উপর বেইস্ড।
মূভিতে সোনাই এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। আর পরির চরিত্রে অভিনয় করেছে ফারহানা মিলি।
এটি ছিলো ২০০৯ এর সেরা ব্যবসা সফল সিনেমা।এই মূভির অসাধারণ আর মনমুগ্ধকর গান গুলো বিশেষ করে দর্শকদের মন ছুঁয়ে দিয়েছে।
সিনেমাটির কিছু গান যেমন - নিথুয়া পাতারে,যাও পাখি বল তারে, সোনার ময়না আর আগে যদি জানতামরে বন্ধু এই গান গুলো বিশেষ করে মূভি রিলিজ হওয়ার আগে দর্শকেদের মনে মনে মূভিটি দেখার তীব্র আকাংখা তৈরি করেছে।
মূভিটির IMDB রেটিং হচ্ছে 8.6
এটি মোট ৫ টি জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে, যার মধ্যে শ্রেষ্ঠ সিনেমার পুরস্কারটিও মনপুরাই নিয়েছে।তাছাড়া মেরিল প্রথম আলো পুরুষ্কারও পেয়েছে।
৭। অজ্ঞাতনামা
অজ্ঞাতনামার পোস্টারphoto courtesy of wikipedia |
সিনেমাটি তৌকির আহমেদের পরিচালনায় ২০১৬ সালে মুক্তিপায়। সিনেমাটিকে এখন পর্যন্ত এই বছরের শ্রেষ্ঠ বাংলা সিনেমা বল্লে অন্যায় কিছু বলা হবেনা, এটি তার পরিচালিত চতুর্থ চলচ্চিত্র।
পরিচয় হীন এক প্রবাসীর লাশ নিয়ে মুল কাহিনী। অজ্ঞাতনামা, নামের ভিতর লুকিয়ে আছে পুরো সিনেমাটি। দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তির এক বিশালঅংশ আসে প্রবাসী বাঙ্গালীদের থেকে।বিদেশ গিয়ে পরিবারের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল করার জন্য বেশির ভাগ মানুষই বাপদাদার জায়গা জমি বিক্রি করে যায়।অনেকে দালালের খপ্পরে পড়ে।এর পরিণতি যে অনেক সময় ভয়াবহ হতে পারে সেটাই বুঝা যাবে এই সিনেমাতে।
কাহিনীতে ফুটে ওঠে, ফজলুর রহমান বাবুর ছেলে মধ্য প্রাচ্যে যাওয়ার পর বেশ কিছুদিন ধরেই তার সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। থানার ওসির কাছে খবর আসে আব্দুল হাকিম নামে একজন আজমান শহরে দুর্ঘটনায় মারা গেছে। খোঁজ নিয়া দেখা যায় আবুল হায়াতের ছেলে ৩ দিন আগে মারা গেছে। কিন্তু আবুল হায়াত গতকাল ও তার ছেলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে । সমস্যা টা হয় ঠিক তখন। আবির্ভাব হয় পর্দায় রমজান দালাল রূপী শহিদুজ্জামান সেলিমের। কম টাকার বিনিময়ে গলা কাঁটা পাসপোর্টে বিদেশে লোক পাঠায় সে। আর ঝামেলা বাধে এখানেই ফজলুর রহমান বাবুর ছেলে আবুল হায়াতের ছেলের পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ চলে যায় ভাগ্যের সন্ধানে। এইজন্য লাশের নাম আর পিতার নাম নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। ফজলুর রাহমান বাবু তার ভাতিজা ও রামজান দালাল কে সাথে নিয়ে লাশ আনার জন্য রওনা দেয় ঢাকায়। কিন্তু লাশ কি তারা পাবে?
খুবই হৃদয় স্পর্শী এবং গুরুপ্ত পূর্ন একটা ব্যপার হওয়ার পরও মানুষ পাচার এবং তা থেকে সর্বস্ব হারনো মানুষগুলোর গল্প আমরা চলচ্চিত্রের পর্দায় এর আগে দেখেছি বলে আমার মনে হয় না। সে জায়গাতে তৌকির আহমেদের কেবলমাত্র ইউনিক গল্প এবং এর বাস্তবতার কারনেও আলাদা এক আবেদন তৈরী করে।চরিত্র গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ছেলে হারা বাবা (ফজলুর রহমান বাবু),বিদেশে যেতে মরিয়া বিধবা (নিপুন), দালাল বা আদম পাচারকারী (শহীদুজ্জামান সেলিম), পুলিশ ( শতাব্দী ওয়াদুদ, মোশাররফ করিম)।ছেলে হারা বাবা ফজলুর রহমান বাবুর হৃদয়স্পর্শি অভিনয় দেখলে কখন চোখে পানি আসবে তা আপনি টের পাবেন না।
IMDB রেটিং 9.6
চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্রকার হিসাবে তৌকীর আহমেদের চলচ্চিত্র কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়।এছাড়া চলচ্চিত্রটি ইতালির গালফ অফ ন্যাপলস ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভালে ২১ মে প্রদর্শিত হয় এবং জুরি স্পেশাল মেনশন পুরস্কার অর্জন করে।এটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, খলচরিত্রে অভিনেতা ও কাহিনীকার বিভাগে পুরস্কার লাভ করে।
৮। ছুটির ঘন্টা
ছুটির ঘণ্ট ভিসিডি কভার photo courtesy of wikipedia |
পরিচালক আজিজুর রহমানের,১৯৮০ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র। এটি মুলত শিশুতোষ চলচ্চিত্র ও কিশোর চলচ্চিত্রএই ছবিটি একটি সত্য ঘটনার উপর নির্মিত। ঈদের ছুটি ঘোষনার দিন সবার অজান্তে স্কুলের বাথরুমে আটকা পরে বারো বছরের এক ছাত্র। আটক থেকে মুক্তি পাওয়ার আকুতি, অমানবিক কষ্টের স্বরূপ পরিচালক তাঁর দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন। তালা বন্ধ বাথরুমে দীর্ঘ ১১ দিনের ছুটি শেষ হওয়ার প্রতিক্ষার মধ্যে দিয়ে
হৃদয় বিদারক নানা ঘটনা ও মুক্তির কল্পনায় ১০ দিন অমানবিক কষ্ট সহ্য করার
পর কিভাবে একটি নিষ্পাপ কচি মুখ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এমনই একটি করূন
দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে।
না দেখে থাকলে আজই দেখে নিতে পারেন। ইউটিউবে আছে। সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন।
বিশ্বমানের ১০টি সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলাদেশী সিনেমা |একবার হলেও দেখা উচিত এমন দশটি সিনেমা|The Best Bangladeshi Movies Ever
এডিডাস,এ্যপল,টয়োটা,BMW,কোকাকোলা,পেপসি এর মত অনেক বিখ্যাত কোম্পানি বা ব্রান্ড গুলো আমরা প্রায়শই দেখতে পাই। আমরা নিজেই এমন বিখ্যাত ব্রান্ড গুলোর পণ্য ব্যবহার করি। কিন্তু কখনও ভাবিনা যে এইসব বিখ্যাত ব্রান্ডের লোগো গুলোর মিনং কি?অথবা লগো গুলোতে কি মসেজ লুকানো আছে?
জানতে চান এর রহস্য? তাহলে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন,আশা করি বিস্তারিত জানতে পারবেন
বিশ্বমানের ১০টি সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলাদেশী সিনেমা |একবার হলেও দেখা উচিত এমন দশটি সিনেমা|The Best Bangladeshi Movies Ever
এডিডাস,এ্যপল,টয়োটা,BMW,কোকাকোলা,পেপসি এর মত অনেক বিখ্যাত কোম্পানি বা ব্রান্ড গুলো আমরা প্রায়শই দেখতে পাই। আমরা নিজেই এমন বিখ্যাত ব্রান্ড গুলোর পণ্য ব্যবহার করি। কিন্তু কখনও ভাবিনা যে এইসব বিখ্যাত ব্রান্ডের লোগো গুলোর মিনং কি?অথবা লগো গুলোতে কি মসেজ লুকানো আছে?
জানতে চান এর রহস্য? তাহলে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন,আশা করি বিস্তারিত জানতে পারবেন
1 মন্তব্যসমূহ
Sob gula dekchi...
উত্তরমুছুন